রোজেল বা মেস্তা চা এখন চা -প্রেমী মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয়তার নাম।
রোজেল বা মেস্তা গুল্মজাতীয় উদ্ভিদটির আদি ভূমি পশ্চিম আফ্রিকা বলে মনে করা হয়। জবা ফুলের সমগোত্রীয় এই গাছের আঁশ থেকে একসময় কাপড় তৈরির সুতা উৎপন্ন করা হতো। এ ছাড়া পাটের বিকল্প হিসেবেও এটি চাষ করা হতো আমাদের দেশে। মেস্তাশাক এখনো খাওয়া হয়। আবার কোনো কোনো অঞ্চলে এর ফুল পানিতে ফুটিয়ে পানের প্রচলন ছিল। পরবর্তী সময়ে এর ফুল, পাতা ও বীজের ঔষধি গুণের কথা ব্যাপকভাবে জানা যায়।দেখতে অদ্ভুত মনোহর এই লাল টুকটুকে চুকই ফুলের রসাল পাপড়িগুলোর রূপ-গুণ দুই-ই উল্লেখ করার মতো।বাংলাদেশে বাংলাভাষীদের মধ্যে রোজেলা যে নামগুলোতে প্রধানত পরিচিত, সেগুলো হচ্ছে চুকই, চুকর, মেস্তা, মেসট, হইলফা ইত্যাদি।
রোজেলা টি ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চা-প্রেমী মানুষের কাছে। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও ডি থাকার কারণে অনেকেই করোনা প্রতিরোধের জন্য টোটকা হিসেবে পান করছেন। রোজেলা চায়ের উপকারী দিক গুলো কি কি তা আজকে আমরা জানবো:-
1.এই চা পানে প্রাক-উচ্চ রক্তচাপ কমানো এবং হালকা উচ্চ রক্তচাপযুক্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক সপ্তাহ রোজেল চা পান-নাটকীয় উন্নতি আনায়নের কথা উপস্থাপিত হয়েছে ।
2.এই চা কোষ্ঠকাঠিন্য-মূত্রনালির সচলতা ও সহজ শ্বাস নিতে সহায়তা করে ।
3.এই চা কাশি, সর্দি ও জ্বর নিরাময়ের কাজ করে।
4. এই চা ডায়াবেটিস এবং হার্টের জন্য উপকারী।
5.যকৃতের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য রোজেল চা খুব উপকারী।
6.যেকোনো সংক্রমণে এই চা পান করলে উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে ফুসফুস ভালো রাখতে এই চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।